ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মুসলিম বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র দিন। এ দিনেই মানবজাতির মুক্তিদাতা, সর্বশেষ রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। অনেক বর্ণনা অনুযায়ী, একই দিনে তাঁর ইন্তেকালও ঘটে। এজন্য মুসলমানরা এ দিনকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে পালন করে থাকে।
ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস
ঈদে মিলাদুন্নবী ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে পালন করা হয়। ইসলামের বিভিন্ন মাজহাব এ দিবসের ইতিহাস ভিন্নভাবে বর্ণনা করেছে। তবে সর্বজন স্বীকৃত বিষয় হলো—এ দিনটি আমাদের প্রিয় নবীজির জন্মদিন।
ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য
-
মহানবীর জন্ম স্মরণ করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
-
ইসলাম প্রচারে তাঁর অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ
-
মুসলিম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা
-
কুরআন-হাদিস পাঠ, দরুদ পাঠ ও জিকিরে মগ্ন হওয়া
ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের নিয়ম
ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করার সময় ইসলামিক শিষ্টাচার মেনে চলা জরুরি। সাধারণত মুসলিমরা যেভাবে পালন করে থাকেন:
-
কুরআন তিলাওয়াত ও দরুদ শরীফ পাঠ
-
ইসলামী সভা ও মাহফিল আয়োজন
-
গরীব ও এতিমদের মাঝে দান-সদকা করা
-
নবীজির জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
অনেক আলেমের মতে, ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা একটি মুবাহ কাজ—যদি তা ইসলামের মৌলিক নিয়মের সাথে বিরোধপূর্ণ না হয়। অর্থাৎ, কেবল ইবাদত, দোয়া, দরুদ ও খুতবার মাধ্যমে উদযাপন করা উচিত।
ঈদে মিলাদুন্নবী মুসলিম জীবনে গভীর তাৎপর্য বহন করে। এ দিন আমাদেরকে নবীজির জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে এবং আল্লাহর পথে অটল থাকতে প্রেরণা দেয়।
Post a Comment